Header Ads

নেইমার বার্সেলোনায় থাকলে ব্যালন ডি’অর জিততে পারত


নেইমার বার্সেলোনায় থাকলে ব্যালন ডি’অর জিততে পারত


লিওনেল মেসিলুইস সুয়ারেজের সঙ্গে মিলে বার্সেলোনার আক্রমণভাগকে অপ্রতিরোধ্য এক রূপ দিয়েছিলেন নেইমার। ‘এমএসএন’ ত্রয়ী হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া বার্সার এই আক্রমণভাগ পৃথিবীর যেকোনো রক্ষণকে একাই গুঁড়িয়ে দিতে প্রচুর ছিল। তবে ২০১৭ সালে নেইমার রেকর্ড মূল্যে পিএসজিতে চলে গেলে ভেঙে যায় এ ত্রয়ী। নেইমারের পিএসজিতে যাওয়ার সেই ডিসিশন নিয়ে এই যাত্রায় প্রশ্ন তুলেছেন সুয়ারেজ। বলেছেন, বার্সেলোনায় থাকলে নেইমার ব্যালন ডি’অর জিততে পারতেন।


বার্সায় মেসি-সুয়ারেজের সাথে রীতিমতো উড়ছিলেন নেইমার। পিএসজিতে গিয়ে নিজের সেই সময়টা আর ফিরে পাননি এই ব্রাজিলিয়ান তারকা। চোটও নেইমারের গতিকে বাধাগ্রস্ত করেছে বারবার।


বার্সায় নেইমারের অবস্থানটা কেমন ছিল, জানাতে গিয়ে সুয়ারেজ বলেছেন, ‘আমাদের কাছে মেসি ছিল বিশ্বসেরা। আর আমার কাছে নেইমার ছিল ২য় সেরা। তারা আমাকে গোল্ডেন বুট জিততে সহযোগিতা করেছে। আমি সব সব সময় তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। এটি আরও প্রুফ করেছে যে, তিনজন স্টার ব্যক্তিগত অর্জনের জন্য না খেলে একসঙ্গে দলীয় সাফল্যের জন্য খেলতে পারে। আমার মনে হয়, এটাই আমাদের সেরা বানিয়েছে। সাথে সুন্দর সতীর্থও বানিয়েছে।’


বার্সায় নিজের টার্গেট কী ছিল, তা নিয়ে সুয়ারেজ এইরকম বলেছেন, ‘আমি তাদের দুজনকে বলেছি, আমি জিততে এসেছি তার সাথে গুরুত্বপূর্ণ জিনিসগুলো অর্জন করতে চাই। আমার জন্য বিষয় ছিল না যে পেনাল্টি কে নেবে, তা নিয়ে নেইমারের সাথে কিংবা মেসির সাথে ফ্রি-কিক নেওয়া নিয়ে বিতর্ক করব। আর মাঠের বাইরে আমরা যখন পান করতে বসতাম (নেইমার করত না), নেইমারও পাশে এসে বসত। আমরা সেই সময় সব ধরনের বিষয় নিয়ে কথা বলতাম।’


নেইমারের বার্সেলোনা ছাড়ার কারণ হিসেবে সে টাইম মেসির ছায়া থেকে বেরিয়ে এসে আলাদা সত্তা তৈরির কথাটি বারবার বলা হচ্ছিল। অনেকেই সেই সময় বলেছিলেন, পিএসজিকে ইউরোপিয়ান সাফল্য এনে দিয়ে ব্যালন ডি’অর জিততে চান এ ব্রাজিলিয়ান তারকা। কিন্তু সে লক্ষ্য এখনো পূর্ণ হয়নি। এমনকি অধুনা মেসিও পিএসজিতে খেলছেন।


তবে সুয়ারেজ মনে করেন, নেইমার বার্সেলোনায় থাকে তাহলে সবকিছুই পেতেন, ‘ আমি তাকে বলেছিলাম, তুমি বার্সেলোনায় থাক সবকিছু জিততে পারবে। যদি নেইমার বার্সেলোনায় থাকত, তাহলে সে নিশ্চিতভাবে ব্যালন ডি’অর জিততে পারত।’

No comments

Powered by Blogger.