যুক্তরাজ্যের বাজারে পোশাক রপ্তানিতে চীনের পরই বাংলাদেশ
যুক্তরাজ্যে যেসব দেশ কাপড় রপ্তানি করে, তার ভিতরে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে বাংলাদেশের নাম। ২০১৫ সালে ভারত, ইতালি ও তুরস্ককে পেছনে ফেলে দ্বিতীয় শীর্ষ অবস্থানে পৌঁছায় বাংলাদেশ। অবশ্য বরাবরের মতো যুক্তরাজ্যের মার্কেটপ্লেসে কাপড় রপ্তানিতে প্রথম অবস্থান ধরে রেখেছে চীন।
যুক্তরাজ্যের জাতীয় পরিসংখ্যান দপ্তরের (অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিকস) সর্বশেষ প্রকাশিত ইনফরমেশন অনুযায়ী, ২০২২ সালে যুক্তরাজ্যের মার্কেটে ৩ হাজার ২৫ কোটি ৯৬ লাখ পাউন্ডের পোশাক রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ, যা একক বছর সংখ্যায় এই মার্কেটে বাংলাদেশের মেক্সিমাম পোশাক। আর গত বছর চীন রপ্তানি করেছে ৪৫০ কোটি পাউন্ডের পোশাক।
করোনা মহামারির কারণে ২০২০ ও ২০২১ সালে কাপড় রপ্তানিতে কিছুটা ভাটা পড়লেও দ্বিতীয় স্থান ধরে রেখেছে বাংলাদেশ। বিশ্বব্যাংকের এক জরিপে লক্ষ্য গেছে, যুক্তরাজ্যের পোশাকের মোট চাহিদার ৮ দশমিক ৩৬ শতাংশের পোশাকের জোগান দেয় বাংলাদেশ। তালিকায় ৩য় অবস্থানে উঠে আগত তুরস্ক। আর ৪র্থ ও ৫ম অগ্রভাগ স্থানে আছে যথাক্রমে ইতালি ও ভারত।
যুক্তরাজ্যে কাপড়ের নানারকম ব্র্যান্ডের পোশাকের বিক্রয়কেন্দ্রে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ লেভেল সচরাচর নোটিশ যায়। বিশেষ করে প্রাইমার্ক, এইচঅ্যান্ডএম, জারা, মার্কস অ্যান্ড স্পেন্সারের মতো বিখ্যাত ব্র্যান্ডের পোশাকের লেভেলে বাংলাদেশ নামটি অনেক অধিক নোটিশ যায়।
সামিয়া খানম নামের এক ব্রিটিশ বাংলাদেশি ১ম আলোকে বলেন, ‘শপিং করতে গিয়ে যখন পোশাকের গায়ে মেইড ইন বাংলাদেশ দেখতে পাই, সেই সময় গর্বে বুকটা ভরে যায়। বাংলাদেশ থেকে আসা পোশাক যুক্তরাজ্যের বাজার আধিপত্য করবে, একটা টাইম অথচ আমরা ভাবতেও পারিনি।’
No comments