বিমাসেবায় আশার আলো ছড়াচ্ছে প্রগতি লাইফ ইনস্যুরেন্স
ইম্পোর্টেন্ট চিকিৎসার টাইম রোগীকে নিয়ে স্বজনদের নানাবিধ ভাবা থাকলেও ক্লিনিকের বিল হাতে পাওয়ার পর শুরু হয় অনেকের দুশ্চিন্তা। অর্ধেকের বেশি ক্ষেত্রেই নোটিশ যায়, প্রচুর সঞ্চয় না থাকার কারণে করার জন্য হয় ঋণ। এ ধরনের অপ্রত্যাশিত অবস্থা এবং ঝুঁকি থেকে বাঁচার সেরা উপায় হচ্ছে স্বাস্থ্যবিমা।
২২ বছর ধরে বাংলাদেশে সফলতার সঙ্গে বিমাসেবা দিয়ে যাচ্ছে প্রগতি লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড। ঢাকনা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের তালিকাভুক্ত প্রগতির উল্লেখযোগ্য বিমা পলিসি হলো—স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পেনশন, হজ ও মাসিক সঞ্চয়ী বিমা পরিকল্পনাগুলো।
প্রগতির স্বাস্থ্যবিমার সুবিধাভোগী একজন ঢাকার মিরপুরের অধিবাসী জহির খান। অভিজ্ঞতা সম্মন্ধে তিনি জানান, কয়েকদিন আগে নিজের একটানা ফেমেলির জন্য স্বাস্থ্যবিমা করেছিলেন। তিনি যখন ১টি দুর্ঘটনায় অসুস্থ হন, শর্তানুযায়ী স্বাস্থ্যবিমার সাহায্যে হাসপাতালের চিকিৎসার পেয়েছিলেন। প্রগতি লাইফের এ ক্যাশলেস পরিসেবা পেয়ে অসাধারণ আকৃষ্ট হন তিনি তার সাথে তাঁর পরিবার।
স্বাস্থ্যবিমার সাহায্যে গ্রাহকেরা কীভাবে ক্লিনিকের চিকিৎসার খরচ কমাতে পারবেন? এ বিষয়ে প্রগতি লাইফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জালালুল আজিম বলেন, ‘বাংলাদেশে দিন দিন চিকিৎসাব্যয়ের হিসাব বাড়ছে। বর্তমানে রাষ্ট্রের মানুষের ‘‘আউট অব পকেট’’ চিকিৎসার খরচ প্রায় ৭২ শতাংশ, যা পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর তুলনায় প্রচুর বেশি। স্বাস্থ্যবিশারদ তার সাথে নীতিনির্ধারকেরা সব সময়ই চিকিৎসার ব্যয় কমানোর ব্যাপারে স্বাস্থ্যবিমার ভূমিকার বিষয়ে বলেন। এসব বিষয়কে মাথায় রেখে প্রগতি লাইফ বাংলাদেশে ১ম ১টি পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্যবিমা প্রচলন করেছে। এর মাধ্যমে মানুষ হাসপাতালে চিকিৎসাব্যয় কমাতে পারছেন। এই বিমা তাঁদের জন্য সমস্যার সময় ১টি আশীর্বাদ।’
স্বাস্থ্যবিমার পাশাপাশি শিক্ষাবিমা নিয়েও বিদ্যমান প্রগতির বিশেষ সেবা। সন্তানদের লেখাপড়ার ব্যয় নিয়ে অনেক গার্জিয়ান দুশ্চিন্তায় থাকেন। অনেক সময় সন্তানের পড়ালেখাও অফ হয়ে যায়। প্রগতির ‘জীবন বিকাশ’ (শিক্ষাবৃত্তি) মাধ্যমিক এক্সামের এক বছর আগে, অর্থাৎ দশম শ্রেণি হতে আরম্ভ হয়, যা চলে সর্বোচ্চ নয় বছর। বৃত্তি প্রদানের প্রথমে ও পরে যদি স্টুডেন্টের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে আর বৃত্তি প্রদান করা হয় না। ইউজার চাইলে নিজের ইচ্ছামতো বৃত্তির সংখ্যা বাড়াতে বা কমাতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে প্রিমিয়াম হারও সে অনুযায়ী পরিবর্তিত হবে।
শিক্ষাবিমার পাশাপাশি ‘জীবন অবকাশ’ বা পেনশন বিমাসেবার ওপর মর্যাদা দিয়েছে প্রগতি লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড। এ বিমার আওতায় অবসরের পর থেকে অবসরপ্রাপ্ত সারাজীবন পেনশন সেবা পান। পেনশন শুরু হলে কমপক্ষে ১০ বছর ধরে রেগুলার পেনশন প্রদান করা হয়। পেনশন শুরু হওয়ার প্রথমে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মৃত্যু হলে মনোনীতকে সব প্রিমিয়াম ফেরত দেওয়া হয়। বার্ষিক পেনশনের মেক্সিমাম ৫০ শতাংশ পেনশন শুরুর সময়ে নগদ অর্থের বিনিময়ে সমর্পণ করা যেতে পারে। বিমাগ্রাহক বাসনা করলে নিজের জীবনের ওপরে এক্সট্রা ঝুঁকি (সর্বোচ্চ বার্ষিক পেনশনের ১০ গুণ) নিতে পারেন। পেনশন শুরুর আগে এবং ৬০ বছর বয়সের আগে মরণ হলেই শুধুমাত্র এক্সট্রা বিমা ঝুঁকির টাকা প্রদান করা হবে। এ বিমার সঙ্গে এডিবি, পিডিএবি সহযোগী বিমাও নেওয়া যায়।
প্রগতির আরেকটি পরিসেবা হচ্ছে ‘জীবন পূর্ণতা’ বা হজ বিমা। এ নীতিমালার অধীনে অর্জিত অর্থ ইসলামি শরিয়াহ্ অনুসারে ইনভেস্টমেন্ট করা হয়। গ্রাহক কোন বছরে হজ করবেন, তা নিশ্চিত করে নীতিমালার মেয়াদ নির্ভুল হয়।
প্রগতি সূত্রে জানা যায়, যেহেতু প্রতিবছর হজের খরচ বাড়ছে, এজন্য হজ বিমাতে বিমা অঙ্কের পরিমাণ প্রতি হাজারে ৫০ টাকা করে বাড়তে থাকে। কিন্তু হজে যাওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মরণ হলে বর্ধিত অঙ্কসহ বিমা অঙ্ক পরিবারকে প্রদান করা হয়। আর মেয়াদপূর্তির আগে সম্পূর্ণ অক্ষমতায় প্রিমিয়াম সব ফেরত দেওয়া হয়। এ বিমাতে মেয়াদপূর্তির পূর্বেই হজে যাওয়া যায়। সে ক্ষেত্রে এক্সট্রা প্রিমিয়াম দেওয়ার জন্য হয়।
বিমা মানেই আপৎকালীন ঝুঁকি থেকে অব্যাহতি পাওয়ার অগ্রিম ব্যবস্থা। উন্নত পৃথিবীর সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিমাসেবা শিওর করার জন্য পারলে জীবন থেকে দুশ্চিন্তা, উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা অনেকাংশেই সরে রাখা সম্ভব।
No comments